Short Overview: An application idea of serving Government Rations to users where nearest manager can see if the sellers are selling all the ration things in accurate price. This idea was being presented at "Sylhet Digital Mela 2017" which was organized by Deputy Commissioner Office, Sylhet and won the champion award.
দারিদ্রতা মোকাবিলা বাংলাদেশ সরকারের জন্যে অন্যতমও বড় চ্যালেঞ্জ। " ক্ষুধার্ত থাকবে না একটি মুখ-ও" এ ধরণের একটি প্রকল্পের জন্যে সরকার বিভিন্ন সময়ই অতিদরিদ্যদের জন্যে স্বল্প মূল্যে খাদ্য বিতরণ করে থাকে। কর্মসূচীটি চালু থাকলেও সঠিক মনিটরিং এর অভাবে অতিদরিদ্রদের সাথে সর্বশ্রেণির মানুষেরাই এই সুবিধা ভোগ করছেন। অনেকসময় অতিদরিদ্র অর্থাৎ যাদের জন্যে কর্মসূচীটি চালু করা, তারাই বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই কর্মসূচীতে সরকার থেকে নিয়োগকৃত ডিলারদের স্বল্পমূল্যে খাদ্য তো দেওয়া-ই হয়,কিন্তু ডিলারদের উপরে কোন মনিটরিং করা হয় না। যার ফলে ডিলার, সরকার থেকে ক্রয়কৃত পণ্য কার কাছে কত মূল্যে এবং সঠিকভাবে বিক্রি করছেন কিনা এটা জানাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি একজন মানুষের কাছে ডিলার একদিনে একবারের বেশি এবং ধার্যকৃত পরিমাণের বেশি বিক্রি করছেন কিনা এটাও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়!
১। ডিলারদের উপর নজরদারি বাড়ানো।
২। কমমূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচীর সুবিধাভোগী শুধুমাত্র দরিদ্র -রাই হবে।
৩। চাহিদার অতিরিক্ত কেউ যেন পণ্য কিনতে না পারেন।
৪। একই মানুষ অথবা একই পরিবারের দুইজন মানুষ যাতে একের অধিকবার নিতে না পারে।
৫। স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে রেশন সিস্টেম চালু করার সুবিধা।
এই সমস্যা মোকাবিলায় আমরা একটি ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার চেষ্টা করেছি।বাংলাদেশ সরকার নতুন ভোটার আইডি কার্ড (যা স্মার্ট কার্ড নামে পরিচত) চালু করেছে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে। এই স্মার্ট কার্ড নাগরিকদের প্রায় ১৭টির মতো সুবিধা দিবে যা নাগরিক সুবিধা নামে পরিচিত। এই স্মার্ট কার্ড কে কেন্দ্র করে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান আসবে। আমরা স্মার্ট কার্ডটির ১৮ নম্বর সুবিধা হিসেবে এমন একটি সিস্টেম চালু করার কথা চিন্তা করেছি যেখানে একজন ডিলারের কর্মকান্ড ওয়ার্ড ভিত্তিক বিভক্ত করে সেটা মনিটরিং এর সুবিধা পাবেন কার্যনির্বাহী সদস্য। সিস্টেমের সার্ভারে শুধুমাত্র দরিদ্যদের ভোটার আইডি আগের থেকে দেওয়া থাকবে। ফলে একই সাথে যেমন ডিলারের উইরে নজরদারি বাড়ানো যাবে,অন্যদিকে অতিদরিদ্যরা তাদের জন্যে চালু হওয়া এ কর্মসূচীর পুরো সুবিধা ভোগ করে প্রতিদিন মাত্র একবার লেনদেন পারবেন। উল্লেখ্য, ভোটার আইডি নাম্বার হবে রেশন নাম্বার।
যখন খাদ্য অধিদপ্তর ডিলার নিয়োগ নোটিশ জারি করে ডিলার নিয়োগ করেন, তখন তারা ডিলারকে একটা নির্দিষ্ট লোকেশনের অধীনে কাজ করার জন্যে একটা ডিলার আইডি-ও দেবেন। এই আইডি এবং লোকেশন ঠিক হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই স্থানীয় প্রতিনিধি ডিলার আইডি এবং লোকেশন কনফার্ম করলে ডিলার সাইন আপ করতে পারবেন। ফলে যখন কোন ক্রেতা আসবে, তখন তিনি তার সাথে স্মার্ট আইডি কার্ড আনবেন, যার নাম্বার হবে ঐ ব্যাকটির রেশন নাম্বার। প্রতিটা ফ্যামিলি থেকে যেকোন একজনের আইডি কার্ড নাম্বারটি রেশন নাম্বার হিসেবে বিবেচিত হবে যা ক্রেতা নিজে পছন্দ অনুযায়ী সিলেক্ট করে দিবেন। ঐ পরিবার ঐ নির্দিষ্ট আইডি কার্ডটি বাদের অন্য কোন আইডি দিয়ে পণ্য কিনতে পারবে না। এই রেশন নাম্বার স্থানীয় প্রতিনিধির কাছে আগে থেকে অনলাইনে জমা থাকবে। ক্রেতার স্মার্ট আইডি, ডিজিটাল কার্ড রিডার দিয়ে পাঞ্চ করে ওই অ্যাপ এর সার্ভারে আপলোড করা তথ্যের সাথে চেক করবে, যদি মিলে যায় তাহলে সে দেখবে সে আজকে কোন লেনদেন করেছে কিনা! যদি না করে তাহলে তাকে পণ্য কিনতে দেওয়া হবে,করলে লেনদেন বাতিল করা হবে। আর আপলোড করা তথ্যের সাথে মিললে সে এই কর্মসূচীর আওতাভুক্ত নন।